“মাটির বাড়ি”
এনামুল কবীর সুমন সরকার
আমি আমারে লইয়া বিব্রত
সকাল হইতে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
হন্য হইয়া ধন্য করিয়া মনে
সন্ধান লইয়া স্বীয় হিয়া বনে।
নর্দমায় গা ভাসাইয়া দলিত
প্রানান্ত যা হাঁপাইয়া মহিত।
কেনো আসিয়া পৃথিবীর বুকে
দম্ভ জাগিলো পাষাণীর মুখে।
আমারে করিয়া পাগল মোহে
জলন্ত উনুনে জ্বালায় দ্রোহে।
আসিয়া ধরায় অঙ্গার হ’য়ে
সামনে বাড়ায় বিধুর সয়ে।
মাটির দেহের উপর দিয়ে
জঞ্জাল চাপিয়া বহর নিয়ে।
থামিবে কখন আজব গাড়ি
ঠিকানা আমার মাটির বাড়ি।
(০২/১০/২০২০ শুক্রবার)
“সভ্য হতে পেরেছি?”
এনামুল কবীর সুমন সরকার
আমরা কি সভ্য হতে পেরেছি?
বরং অসভ্য হয়ে দেউলিয়া হয়েছি।
বিবেক টাও কেমন জানি চেতন হারা
অন্ধত্বে জেঁকে বসেছে লোভের ধারা।
খবরের কাগজ খুললে দেখা হয়
দূর্নীতি,নিপীড়ন, ঘুষের জয়,
মস্তিষ্কের চিন্তা নামক নেশা
জানতে চায় এ কোন পেশা?
আমরা কি সভ্য হতে পেরেছি?
রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে দেখেছি।
অসভ্য কীটের পদচারণায় মুখর
ওদের দৃষ্টি থেকে বাঁচা দুষ্কর।
রুগ্ন মানুষিকতায় বিলীন হয়ে
ঘটনার প্রবাহ জড়ো হয় ভয়ে।
কিছু কথা হয় না বলা লজ্জায়
কিছু বাকী থাকে অস্থি মজ্জায়।
(০৯/১০/২০২০ শুক্রবার)
“মাটির দেহ”
(গীতি কাব্য)
এনামুল কবীর সুমন সরকার
মাটি দিয়া যত্ন কইরা
দেহ খানা বানাইছে, (২)
তার ভিতর আত্মা দিয়া
মেশিন চালু কইরাছে।
কারিগর রাজা ধীরাজ
অন্তরেতে করে বিরাজ, (২)
সব খবর রাখেন তিনি
প্রতিপালক আত্মার যিনি।
ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে
জগতে দিলাম ফাঁকি, (২)
উড়াল দিলে খাচার পাখি
হিসাব নিকাশ রইবে বাকী।
সুমন সরকার ভেবে কয়
মাটির দেহ হইবেরে ক্ষয়, (২)
সময় কারো আপন তো নয়
আত্মার মোচর কেমনে সয়।
(০৬/১০/২০২০ মঙ্গলবার)